স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘদিন পর আবারও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে মনোমুগ্ধকর সার্কাস (অ্যাক্রোবেটিক) প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী থেকে আগত বড় ও শিশু অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোমুগ্ধকর অ্যাক্রোবেটিক (সার্কাস) প্রদর্শিত হয়।
অ্যাক্রোবেটিক (সার্কাস) প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসফিকুর রহমান মিলটনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমানউল্লাহ-আল-হাদী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি নাসরিন খান লিপি ও ঢাকার অ্যাক্রোবেটিক’র টিম লিডার ইতিহাস প্রমুখ। উল্লেখ্য, দম আটকানো শারীরিক কসরত।
একচুল এদিক-ওদিক হলেই শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। তাসের ওপর তাস নয়, এ তো দেহের ওপর দেহ সাজানোর খেলা। একের শরীরে অন্যজন ভর দিয়ে তৈরি করছে নানা দৃশ্য প্রতিরূপ, জ্যামিতিক আকার। মনোমুগ্ধকর আয়োজন শ্বাসরুদ্ধকর অনুভূতিরই জন্ম দিল সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির দর্শকদের মনে। চীনা অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী দর্শকদের অনেকেরই দেখা।
কিন্তু এবার এদশের অ্যাক্রোবেট শিল্পীরাই প্রমাণ দিলেন, তারাও পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বড় ও ছোট শিল্পীরা অ্যাক্রোবেটিক শো-তে অংশ নেন। একের পর এক চোখ ধাঁধানো কসরত চলছিল মঞ্চে। নানা ধরনের অপূর্ব সাধারণ খেলা ও শরীরচর্চায় মুগ্ধতা বিরাজ করে পুরো অনুষ্ঠানস্থলে।
শিল্পমাধ্যম সার্কাসের প্রধানতম অঙ্গ অ্যাক্রোবেটিক শিল্পসমগ্র পৃথিবীতে সমাদৃত ও মর্যাদাপূর্ণ। জেলা পর্যায় থেকে হারিয়ে যাওয়া অ্যাক্রোবেটিক শো দেখতে অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় করে শিশু-নারীসহ নানা বয়সের দর্শণার্থী। মুহূর্তের মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল পরিপূর্ণ হয়ে যায়। চলে তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনি। জমজমাট অ্যাক্রোবেটিক শো দেখে চোখের পাতাও ফেলতে পারেনি দর্শকরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই অ্যাক্রোবেটিক দল আক্ষরিক অর্থেই সাতক্ষীরার দর্শকদের মন জয় করে নিল।