স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারি, আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে টাকার বিনিময়ে গোপনে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল মোটা টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
অভিযোগকারী চাকরি প্রার্থীরা জানান, স্বজনদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশে বহিরাগত কোনো প্রার্থীর আবেদন গ্রহণ করেননি। ফলে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন তারা।
তারা বলেন, গত ১৭ মে বৈকারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, নিরাপত্তাকর্মী এবং আয়া পদে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
ওই পদগুলোতে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের ছেলেকে অফিস সহায়ক পদে, জামাত নেতা শহীদ হাসানের ভাগ্নি মিনুকে আয়া পদে ও রাজাকার জহিরুল ইসলাম টিক্কা খানের ভাগ্নে নুরুজ্জামানকে পিওন পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাদের থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আবেদন নেওয়া হয়। তবে বহিরাগত প্রার্থীরা আবেদন জমা দিতে গেলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বিভিন্ন অজুহাতে আবেদন গ্রহণ করেননি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত আমার কাছে কেউ চাকরির জন্য আবেদনপত্র জমা দেননি।
নিজের ছেলের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার ছেলে অফিস সহায়ক পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে আগ্রহী।
চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাউকে চাকরির জন্য ঠিক করেছে কিনা সেটা সম্পর্কে আমি অবগত নই। বিষয়টি তাকে জানালে তিনি বলতে পারবেন।
এব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কালামের ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।