অনলাইন ডেস্ক : এক জয়ে দুই প্রাপ্তি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বকাপ সুপার লিগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল বাংলাদেশ। প্রথম দল হিসেবে ১০০ পয়েন্ট পূর্ণ করল তামিম ইকবাল বাহিনী। ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ড এখন দ্বিতীয় স্থানে।
লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম রেকর্ড জুটি গড়ে বাংলাদেশকে এনে দেন ৩০৬ রানের বড় সংগ্রহ। পরে বোলারদের বাকি কাজ সারতে বেগ পেতে হয়নি। ৮৮ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে সোমবার। সাকিব-তামিমদের সামনে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি।
তিনশর বেশি রান তাড়া করতে নেমে ৪৫.১ ওভারে সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ২১৮ রানে। নজিবউল্লাহ জাদরান ৫৪ ও রহমত শাহ করেন ৫২ রান। মোহাম্মদ নবী ৩২ ও রশিদ খান ২৯ রান করে হারের ব্যবধান কমান। বাকি কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক।
তামিম সাত বোলারকে ব্যবহার করেন। কেউই উইকেট বঞ্চিত হননি। তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ-মিরাজ-আফিফ-মাহমুদউল্লাহ-শরিফুল।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে পৌঁছায় ৩০৬ রানে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন-মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি জুটি এনে দেয় প্রত্যাশিত পুঁজি। তৃতীয় উইকেটে দেশের আগের সেরা জুটি ছিল ১৭৮ রানের। যেখানে মুশফিকুর সঙ্গী ছিলেন তামিম ইকবাল।
মুশফিক সেঞ্চুরি পেলে এদিন রান উৎসবের ইনিংসটা পূর্ণতা পেত। আক্ষেপ নিয়ে তাকে ফিরতে হয় ৮৬ রানে। তার আগের বলেই ১৩৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন লিটন দাস। দুজনের ২০২ রানের রেকর্ড জুটিতে অনায়াসে তিনশর পথ বাড়ি দেয় বাংলাদেশ।
ক্যারিয়ারের ৪৯তম ওয়ানডেতে এসে পঞ্চম সেঞ্চুরি পান লিটন। ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেন ১২৬ বলে। মারেন ১৬টি চার ও দুটি ছক্কা। তিন অঙ্কে পৌঁছান ১০৮ বলে। পরের ১৮ বলে ৩৬ রান আসে তার ব্যাটে।
দলের রান বাড়াতে শেষে বেশি মারমুখী হন লিটন। পেসার ফরিদ আহমেদের করা ইনিংসের ৪৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড উইকেটে মুজিব উর রহমানের হাতে ক্যাচ দেন। পরের বলে বাউন্সারের মুখে কাট করতে গিয়ে থার্ডম্যানে থাকা ফরিদের সহজ ক্যাচে পরিণত হন মুশফিক। মি. ডিপেন্ডেবল ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন ৯৩ বলে ৯ চারের সাহায্যে।
শেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন জ্বলে উঠতে পারেননি সেভাবে। দুজনে অপরাজিত থেকেও রান খুব একটা বাড়াতে পারেননি। বাংলাদেশের সংগ্রহটা আরেকটু বড় হয়নি তাতে। আফিফ ১২ বলে এক চারে ১৩ ও মাহমুদউল্লাহ ৯ বলে করেন ৬ রান।
শুক্রবার মি. একস্ট্রার সহায়তায় ওপেনিং জুটিতে দ্রুত ৩৮ রান আসে। তামিম ২৪ বলে ২ চারে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি, ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন।
লিটনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৫ রান যোগ করে সাকিব ৩৬ বলে ২ চারে ২০ রানে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হন। তারপর কেবলই মুশফিকের-লিটনের ছুটে চলা। বড় সংগ্রহের পেছনে ব্যাটারদের অবদানের পাশাপাশি রয়েছে আফগান ফিল্ডারদের কয়েকটি ক্যাচ মিসের সুবিধাও।
বিশ্বসেরা স্পিন আক্রমণ নিয়েও চাপ তৈরি করতে পারেনি আফগানিস্তান। মুজিব-রশিদ-নবী মিলে তুলতে পেরেছেন স্বাগতিকদের একটিমাত্র উইকেট। ১০ ওভারে ৫৪ রান দেন বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার রশিদ। নেন একটি উইকেট। মোহাম্মদ নবী ৪ ওভারে দেন ২৬ রান। মুজিব উর রহমান ১০ ওভারে দেন ৪৯ রান।