অন লাইন ডেস্ক: সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি ভোঁদড় (উদবিড়াল), ছয়টি খরগোশ ও একটি ঈগল পাখি সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়। তবে পাচারের কবল থেকে বাঁচলেও শেষ রক্ষা হলো না ভোঁদড়ের।
বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়ী গ্রামের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ঝন্টু বর্মনের পুকুরে একটি ভোঁদড় গেলে জাল দিয়ে ধরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে মালিকপক্ষ। বিলুপ্তপ্রায় ভোঁদড় পিটিয়ে হত্যায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহর অভিযোগ, এলাকাবাসী ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেও শেষ রক্ষা হয়নি। সবার সামনে ভোঁদড়টিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, অবমুক্ত করা ভোঁদড় দুটিv একটি বন থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করে কলবাড়ী এলাকার একটি পুকুরে অবস্থান করছিল। পরে পুকুরমালিক জাল দিয়ে ধরার পর সেটিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে শুনেছি। তবে এটা যেই করুক না কেন বন্যপ্রাণি হত্যা অপরাধ।
মুন্সিগঞ্জ বন টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বলেন, আমি ট্রেনিংয়ে আছি। বিষয়টি তদন্ত করতে আমাদের স্টাফ পাঠিয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।