শেখ আরিফুল ইসলাম আশা : সাতক্ষীরা লাবসা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর ও তালতলা এলাকার ১১শ পরিবারের ৫ হাজার মানুষ স্থায়ী জলবদ্ধতার শিকার। দীর্ঘ দুই মাস স্থায়ী জলবদ্ধতার কারণে দেখা দিয়েছে পানি বাহী বিভিন্ন রোগ।
বুধবার সরজমিনে যেয়ে দেখাযায় পৌর শহরের মিলবাজার থেকে খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা পর্যন্ত সড়কের দুপাশের বাড়ি ঘর ফসলের ক্ষেত সব জায়গায় পানি থইথই করছে। বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট স্থায়ী জলবদ্ধতার নিরসন চান এসব এলাকায় বসবাসকারি সাধারণ মানুষ।
তালতালা ও গোপীনাথপুর এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, অপরিকল্পিত ভাবে মাছের ঘের করায় এসব এলাকার বৃষ্টির পানি বেরহতে পারছেনা। পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এছাড়া বেতনা নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে। নদী দখল ও এই জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ।
গোপীনাথপুর গ্রামের বিউটি খাতুন বলেন, বৃষ্টির পানি বাড়ি ঘরে জমে আছে দুই মাস। পানিতে ডুবে গেছে রান্নাঘর, গোয়াল ঘর। ছেলে মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে এই পানি ঠেলে। আমরা এর পত্রিকার চাই।
গোপীনাথপুরের মোঃ রুহুল আমিন বলেন আমরা স্থায়ী জলবদ্ধতার মাঝে দিনাতিপাত করছি। বাড়ির উঠানে হাঁটু পানি। জলাবদ্ধতার কারণে পানি পচে গেছে। পরিবারের সদস্যদের পানি বাহীত বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। চুলকানি, পাঁচড়া, আমাশয় আক্রান্ত সবাই। একুই এলাকার প্রভাত কুমার মন্ডল বলেন আমাদের দেখার কেউ নেই।
হাঁটু পানির মধ্যে বসবাস করছি দুই মাস ধরে। তালতলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রয়িচ উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট স্থায়ী জলবদ্ধতার নিরসন চাই। এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা ও করেন তিনি।
লাবসা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের তালতলা গোপীনাথপুর এলাকার ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, পানি সরার জায়গা না থাকায় এই স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরা – খুলনা মহাসড়কের পাশদিয়ে রাস্তার ড্রেন মৎস্য ঘের মালিকদের দখলে। এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবহিত করাহয়েছে।