এমএম সাহেব আলী : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের নাংলা থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিংবাঁধ এর সম্পন্ন হয়েছে। আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের নেতৃত্বে শুক্রবার (২৮মে) দিনভর কাজ শেষে কাজের শেষ হয়।
প্রায় ৫/৭ হাজার মানুষ প্রাণপণ চেষ্টা করে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর কাজ সম্পন্ন করেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর আলম লিটন জানান, গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নাংলা খেয়াঘাট হতে গোকুলনগর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা ২২ স্থানে কপোতাক্ষ নদীর পানিতে ভেসে যেয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
বৃহস্পতিবার বাঁধটি আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় এলাকাবাসী। শুক্রবার সকালে নিজ অর্থে ৬৬৩ টি বাঁশ ক্রয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭/৮ হাজার বস্তানিয়ে ভোর থেকেই জনগণকে সাথে নিয়ে বাঁধটি আটকানোর চেষ্টা করি। দুপুরে জোয়ার আগেই রিং বাঁধ সম্পন্ন হলে পানি আটকানো সম্ভব হয়।
দুপুরে নাংলা খেয়াঘাট এলাকায় সরকারি বরাদ্দকৃত ২ টন চাল ২ শত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ও ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার (শিশু খাদ্য) ৫০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়। শুকনো খাবারের মধ্যে চিনি, সুজি ও দুধ ছিলো।
এসময় আশাশুনি উপজেলা ভাইস সাংবাদিক চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, আনুলিয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, শওকত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সমাজসেবক মফিজুল মোল্যা, আরিফুর ইসলাম বাবু, আব্দুস সুবান মোল্যা, কামাল হোসেন গাজী, আনারুল ইসলাম, লিটন হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।