অনলাইন ডেস্ক : শেষ ওভারে পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নিয়েও ৮ রান ডিফেন্ড করতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নাটকীয় ওভারের শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ।

ছোট পুঁজি নিয়েও লড়াইয়ের আভাস মিলেছিল শুরুতে। স্লগের বোলিং ভালো হয়নি বাংলাদেশের। শেষটায় ম্যাচে ফিরেও ফসকে গেল জয়। আরেকটি হারের চিত্রনাট্য মঞ্চস্থ হল শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না মাহমুদউল্লাহর দল।

শেষ ওভারে ৮ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের, হাতে ৮ উইকেট। বোলিংয়ের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজে। প্রথম বলে ডটের পর টানা দুই বলে তুলে নেন সরফরাজ ও হায়দার আলির উইকেট।

চতুর্থ বলে ইফতেখার এসে সোজা ব্যাটে মারেন বিশাল এক ছক্কা। পরের বলেই অবশ্য ক্যাচ তুলে দেন। শেষ বলে ২ রানের সমীকরণ। স্ট্রাইক প্রান্তে নওয়াজ। মাহমুদউল্লাহর ওই বলে কাভার ড্রাইভে মেরে দেন বাউন্ডারি। ৩-০ ব্যবধানে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতে ২৬ নভেম্বর স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্টের লড়াইয়ে নামবে বাবর আজমের দল।

সোমবার আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ জমা করে ১২৪ রান। ছোট লক্ষ্যে পাকিস্তান ৫০ রান তোলে ১০.৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে। প্রথম ভাগে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও শেষে খেই হারান টাইগারদের সবাই।

হায়দার আলিকে আটকে রাখা যায়নি। থিতু হতে সময় নিয়ে পরে ব্যাট চালান আগ্রাসী মেজাজে। ডানহাতি ব্যাটারের ৩৮ বলে ৪৫ রানের ইনিংসের পর শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে ফেলে পাকিস্তান।

পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে সফরকারীরা তোলে ২৮ রান। সপ্তম ওভারে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব এসে শর্ট বলে সাজঘরে পাঠান বাবরকে। ৩২ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ২৫ বলে ১৯ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার জুটি গড়েন সাবধানী ব্যাটিংয়ে। রিজওয়ান ৪০ করে বোল্ড হন অভিষিক্ত পেসার শহিদুল ইসলামের বলে।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৫১ রান। দারুণ খেলতে থাকা হায়দার আলি ৪৫ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহর বলে। তাতে জয়ের আশা জাগে বাংলাদেশের। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। টানা তৃতীয়বার টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ, ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ১২৪ রান। ওপেনার নাঈম শেখ সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ৫০ বল খেলে।

সাইফ হাসানকে বাইরে রেখে আগের ম্যাচে তিনে ব্যাট করা নাজমুল হোসেন শান্তকে ওপেনিংয়ে সঙ্গী করা হয় নাঈমের। পরিকল্পনায় জল ঢেলে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন শান্ত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৫ বলে ৫ রান করে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটার।

শামীম হোসেন পাটোয়ারি সিরিজে প্রথমবার নামার সুযোগ পান। তাকে নামানো হয় তিন নম্বরে। ২৩ বলে ২২ রান করে ফেরেন এ তরুণ। আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২০ রান।

শুরুতে মন্থর ব্যাটিং করা নাঈম শেষেও দ্রুত রান তুলতে পারেননি। ১৯তম ওভারে আউট হন এ ওপেনার। ৫০ বলের ইনিংসে মারেন দুটি করে চার-ছয়। শেষ ৫ ওভার থেকে বাংলাদেশ তোলে মাত্র ৩৫ রান। আগের ম্যাচে বাংলাদেশ করেছিল ১০৮ রান। এদিন সেটি অন্তত টপকাতে পেরেছে স্বাগতিকরা।

উসমান কাদির ও মোহাম্মদ ওয়াসিম নেন দুটি করে উইকেট। শাহনেওয়াজ ও হারিস রউফ নেন একটি করে উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *