অনলাইন ডেস্ক : ক্রিকেটের বহুল প্রচলিত একটি টার্ম- ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস! বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আপ্তবাক্যটিই সত্যি হল। লিটন দাসের সহজ দুটি ক্যাচ মিসে পথ হারাল দল। ১৭২ রানের লক্ষ্য শ্রীলঙ্কা টপকে গেছে ৭ বল আগেই। ৫ উইকেটের হার দিয়ে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ শুরু করল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
চারিথ আশালাঙ্কা ৪৯ বলে পাঁচটি করে চার-ছয়ে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন। ভানুকা রাজাপাকশে ৩১ বলে তিনটি করে চার-ছয়ে ৫৩ রান করে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হন। দুজনে পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৮৬ রান। অথচ জুটি ভাঙতে পারত অনেক আগেই। দুই ব্যাটারই ক্যাচ উঠিয়ে জীবন পান। সহজ দুটি ক্যাচ ছাড়েন লিটন দাস।
রাজাপাকশে ১২ রানে ও আশালাঙ্কা ৬৩ রানে সহজ ক্যাচ দিয়ে বাঁচেন। রাজপাকশে যখন আউট হন, তখন জয়ের দোরগোড়ায় লঙ্কানরা।
সাকিব আল হাসানের জোড়া শিকারের পর সাইফউদ্দিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন। ৭৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ম্যাচে দারুণভাবে ফিরেও বাজে বোলিং ও ক্যাচ মিসের মাশুল দেয় বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত লড়াইটুকুও হয়নি। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা। অথচ বোলিংয়ে শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। প্রথম ওভারেই কুশল পেরেরাকে (১) সাজঘরে পাঠান নাসুম। শ্রীলঙ্কা ২ রানে হারায় প্রথম উইকেট। পাথুম নিশাঙ্কাকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়েন আশালাঙ্কা।
আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাকে (২৪) ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। ওই ওভারেই আভিষ্কা ফের্নান্দোকে শূন্য রানে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার। রোববার শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে পৌনে দুইশর কাছাকাছি সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল টিম টাইগার্স।
বাছাইপর্বের প্রতিটি ম্যাচে ধুঁকেছে ওপেনিং জুটি। পাওয়ার প্লে’তে রান তুলতে না পারার বদনাম ঘুচেছে আসল লড়াইয়ে নেমে। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪০ রান। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ১৬ বলে ১৬ রান করে আউট হন লিটন। সাকিব নেমেই আগ্রাসী মনোভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন। টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। বোল্ড হন দ্রুত রান বের করার তাড়নায়। ৭ বলে ১০ রান করে থামেন বাঁহাতি ব্যাটার।
মুশফিক শুরুতে একটু ধীরগতির হলেও অন্যপাশ থেকে রানের চাকা ঠিক রাখেন নাঈম। মুশফিক জ্বলে উঠতে কিছুটা সময় নেন। পরে হয়ে ওঠেন বিধ্বংসী। দুই প্রান্ত থেকেই আসতে থাকে একের পর বাউন্ডারি।
দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৩ রান আসে ৫১ বলে। ৫২ বলে ৬ চারে ৬২ করেন নাঈম। মুশফিক ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ৩২ বলে। শেষ পর্যন্ত খেলে ৩৭ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন মি. ডিপেন্ডেবল। মারেন পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা।
নাঈম আউট হওয়ার পর নেমেছিলেন আফিফ হোসেন। ৬ বলে ৭ রান করে রান আউটের শিকার হন বাঁহাতি ব্যাটার। পরে মুশফিকের সঙ্গী হন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়ক ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে চামিকা করুণারত্নে, বিনুরা ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা নেন একটি করে উইকেট।