স্টাফ রিপোর্টার : ‘বাঁধ নির্মানের দাবিতে মানববন্ধন করার দরকার কি? এ নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি কেনো?’ এ কথা বলেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে একজন কলেজ ছাত্রকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন শ্যানগরের পদ্মপুকুর ইউনয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। এ সময় তিনি গর্জে উঠে বলেন, ‘ইউএনও সাহেব তোর বিরুদ্ধে মামলা দিতে বলেছেন। দাঁড়া তোকে মজা দেখাচ্ছি’।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্র মার খাওয়া এই যুবক পাতাখালি গ্রামের শাহিন বিল্লাহ এই অভিযোগ করে বলেন দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি শাহিন বিল্লাহর বন্ধু ইয়াসির আরাফাতকেও মারপিট করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী আলমগীর কবির। আজ শনিবার সকালে ও দুপুরে দুই দফায় এই মারপিটের ঘটনা ঘটে।
মার খাওয়া শাহিন বিল্লাহ ও ইয়াসির আরাফাত জানান তারা পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত। শুক্রবার তারা পাতাখালি এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মান দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করলে তা দেশের মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার লাভ করে। এতে ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও তার সহযোগীরা।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানকে বার বার ফোন করা হলে তিনি তা কেটে দেন। তার সাথে কথা বলা যায়নি।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু জার গিফারি বলেন, চেয়ারম্যান আতাউর আমাকে জানিয়েছেন যে, ‘আজ সকালে দুই যুবক পাতাখালিতে বেড়ি বাঁধ নির্মান স্থলে যেয়ে পাউবো কর্মকর্তার ওপর চড়াও হয়ে বলেন আপনারা এখন কেনো এসেছেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কি হলে বাঁধ শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ সময় চেয়ারম্যান তাকে ধাক্কা দেন এবং তাকে নিবৃত্ত করেন। আমি মামলা দেয়ার কথা বলতেই পারি না’।
জানতে চাইলে পাউবো কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, চেয়ারম্যান তাকে ধাক্কা মারেন বটে তবে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। উত্তেজনা থামাতে তিনি হয়তো এমন কাজটি করেছেন।