শেখ আরিফুল ইসলাম আশা : সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দরের সড়ক যানজট মুক্ত হওয়ায় যানজট নিরসন কমিটিকে প্রশংসা সাধুবাদ জানিয়েছে বন্দরের ব্যবসায়ী এলাকাবাসী সহ সর্বসাধারণ।
গত একমাস আগে শুরু হওয়া ভোমরা স্থলবন্দর যানজট নিরসন কমিটির ১২ জন সদস্য ও ৪০ জন সেচ্ছাসেবকের কর্মতৎপরতায় স্থলবন্দরের সড়কে যানযট নিরসন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, ভোমরায় যানজট নিরসনে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শ্রমিক ইউনিয়ন সহ স্থানীয়দের নির্দেশ ও পরামর্শক্রমে এবং আলোচনার মাধ্যমে আমরা স্থলবন্দর যানজট নিরসনের কমিটি গঠন করে কাজ করছি। করোনা কালিন সময়ে বেকার হওয়া ৪০ জন ট্রাকের হেলপার ও যুবক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।
স্থলবন্দরের সড়ক যানজট মুক্ত হওয়ায় বন্দরের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা সাধুবাদ জানিয়েছে। তারা বলেন গঠিত ভোমরা স্থলবন্দর যানজট নিরসন কমিটি স্থলবন্দর এলাকাকে এখন যানজট মুক্ত করেছে। আগে ট্রাকের দীর্ঘ লাইনের কারণে বন্দরে প্রবেশ কারা যেতোনা। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর কারণে বহু শ্রমিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করছে। এখন বন্দর এলাকায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে না।
ভোমরা স্থলবন্দরে আসা ট্রাকচালকরা জানান, আগে বন্দরের রাস্তায় গাড়ি রাখতে হতো ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে যানজটের সৃষ্টি হতো। বন্দরের জায়গা ব্যবহার করে যানজট নিরসনে কাজ করা কমিটিকে সাধুবাদ জানায়।
ভোমরা স্থলবন্দর যানজট নিরসন কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান, স্থলবন্দর কতৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে বন্দরের পরিত্যক্ত জায়গায় ইট বালি ফেলে গাড়ি পার্কিং এর জায়গা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ইট বালি ও লাইটিং বাবদ ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ব্যয় করা হয়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দর যানজট নিরসন কমিটি কাজ কে স্বাগত জানিয়ে বন্দরের উপ – পরিচালক ( ট্রাফিক) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,পূর্বের তুলনায় বন্দরের সড়কে এখন যানজট অনেকখানি কম। যানজট নিরসনে যারা এমন উদ্যোগ নিয়েছে ও কাজ করছে বন্দর কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের সাধুবাদ জানায়।