চট্রগ্রাম, ১৮ শ্রাবণ (০৩ আগস্ট, ২০২২) : গণশুনানির এই বিশাল উপস্থিতি আমাদের সকলকে মনে করিয়ে দেয় দুর্নীতি প্রতিরোধে আমরা সবাই সোচ্চার ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বুধবার (০৩ আগস্ট) সকালে দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক(অনুসন্ধান) চট্রগ্রাম মহানগরীতে অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জনগণের জন্য প্রদত্ত সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সততা ও মূল্যবোধের মান বজায় রাখার জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেন, গণশুনানির মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র দুর্নীতি দমন, প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও উত্তম চর্চার বিকাশে দুদক কাজ করছে। সরকারি সেবা প্রদানে দুর্নীতি, হয়রানি সহ্য করা হবে না জানিয়ে দুদক কমিশনার বলেন, জনগণকে হয়রানি করার অধিকার কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর নেই। বরং জনগণের সেবা করাই আমাদের দায়িত্ব।
দুদক কমিশনার আরও বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের দৃঢ় মানসিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটছে। সরকার দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অনেক গুরুত্বুপুর্ণ এবং হাইপ্রোফাইলযুক্ত ব্যক্তি শাস্তি ভোগ করছে। আমাদের সাংগাঠনিক দায়িত্ব হল প্রাপ্যতার অধিক যেন কেউ ভোগ করতে না পারে। দুর্নীতি দমন কমিশন সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন আমাদের কাছে প্রাপ্ত প্রায় সত্তর শতাংশ মামলার কনভিকশন হয়েছে।
উল্লেখ্য প্রায় দুই বছর পর সরকারি দফতরের বিরুদ্ধে আনা শতাধিক অভিযোগ নিয়ে গণশুনানি আয়োজন করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই গণশুনানিতে ভূমি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ , চট্রগ্রাম হিসাব রক্ষণ অফিস, চট্রগ্রাম ওয়াসা, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ ,বিভাগীয় পার্সপোর্ট অফিস, বিআরটিএ, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিষয়ে ৪৭ টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়। উত্থাপিত ৪৭টি অভিযোগের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হলেও অন্যান্য অভিযোগের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিন এবং কিছু ক্ষেত্রে ২৮ দিন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাহমুদ হাসান, পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কার্যালয়, চট্রগ্রাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আশরাফ উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার, চট্রগ্রাম, এ.কে.এম সোহেল, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ), দুর্নীতি দমন কমিশন, কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশ কমিশনার, চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্রগ্রাম, মনোয়ারা হাকিম আলী, সভাপতি, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, চট্রগ্রাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রামের বিশিষ্ট সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।