গাজী হাবিব : সড়কের কার্পেটিং কাজ শেষ হয়েছে ২৪ দিন। এর মধ্যেই পাথর ঝরে যাচ্ছে। ঢালে ঢালে পিচ উঠে যাচ্ছে। এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলী গৌরঙ্গ কুমার বিশ্বাস বলছে এরকম হওয়ার কোন সুযোগ নাই। তিনি উল্টো প্রশ্ন করলেন, চাংড়া উঠে যাবে কেন?

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কুশলিয়া ইউনিয়নের তুলাকাটি থেকে খেজুরতলা বাজার পর্যন্ত সড়কে এমন করুণ দশা। এলাকাবাসী হাত দিয়ে সড়কের কার্পেটিং ঢালাই তুলে ফেলেছে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে কালিগঞ্জে সমালোচনার ঝড় উঠে। তার পরেও কোন অনুশোচনা নেই কর্তৃপক্ষের। উল্টো তারা সিডিউল দেওয়ার নামে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করায় কাজ শেষ হতে না-হতেই সড়কের বেশীরভাগ অংশের পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) উঠে যাচ্ছে। বালি, পাথর, বিটুমিনসহ রাস্তা নির্মান কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাছাড়া সড়কের পার্শ্বে কোন মাটি নেই, পাশ্ব দেওয়াল নেই।

উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের তুলাকটি থেকে খেজুরতলা পর্যন্ত ২ কিলোমিটার লম্বা এবং ৩ মিটার চওড়া সড়কটি মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন গেলে ঠেকরা তুলাকাটি এলাকার বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, রাস্তার খুব খারাপ অবস্থা। এখনই রাস্তার পাথর মুড়ির মতো উঠে যাচ্ছে। এই মুহুর্তে রাস্তা যদি পুনরায় সঠিক নিয়মে কার্পেটিং না করা হয় তাহলে আমরা সবাই ভোগান্তিতে পড়বো। আমরা কাজের সময় তাদের বারবার বলেছি সড়কে কম্প্রেশার ঠিক করতে। সঠিক নিয়মে কাজ করতে। তারা তা করেনি। বিটুমিন নাকি পোড়া মোবিল ব্যবহার করছেন? একথা জিঙ্গেস করলে আমাদের অপমান করে বের করে দেয়। বর্তমানে সড়কে এমন করুণ দশা।

স্থানীয় শাহিনুর রহমান বলেন, ভাল কাজ হয়নি, সড়কের ধারে মাটি দেয়নি। সড়কটি থাকবেনা। সরকারী খালের মাটি দিতে তাদের অনিহা কেন আমরা বুঝতে পারলামনা। কাজের সময় তাদের কিছু বল্লে তারা আমাদের ভয় দেখিয়ে হাকায়ে দিয়েছে। আমরা মামলার ভয়ে আর কথা বলতে পারিনি।

সড়কে ২ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিম্নমানের বিটুমিন, বালি, পাথরের মিশ্রণে কাজ করা রাস্তাটিতে মটর বাইক রাখলে সড়কে স্ট্যান্ট বসে যাচ্ছে। সড়কে পিচ, বালি, পাথর কোথাও চাংড়া আকারে উঠে যাচ্ছে আবার কোথাও মুড়ির মতো ঝরে যাচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেনকে জানালে তিনি বলেন আমি সাতক্ষীরায় মিটিংয়ে আছি। তবে বিষয়টি আমি খোঁজ নেব।

কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুজা মন্ডলকে ভিডিও ফুটেজ পাঠালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমি আজ অথবা আগামীকাল উপজেলা প্রকৌশলীকে নিয়ে সড়কটি ভিজিট করবো। কেন এমন হলো উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন জবাব দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *